মায়াবতী
- বিদায় বেলা - স্নিগ্ধতার পরশ ২৭-০৪-২০২৪

মায়াবতী...
তুমি যেমন করে হৃদয়ের মণিকোঠায় পুরোটাই কক্ষ দখল করে আছো!
তেমন-ই তুমার জন্য একটা কক্ষ বানাবো,
যেখানে,
তুমি ছাড়া থাকবে না অন্য কারো প্রবেশ করার অধিকার।


এক একটা করে,
তুমার প্রিয় জিনিসগুলি এনে কিছু গুছিয়ে রাখবো,
মায়াবতী...
সেই প্রিয় জিনিস গুলো মধ্যে বাদ পরবে না,
তুমার হাতের সেই নীল চুড়ি খানা,
তুমার পছন্দের রং তুলি দিয়ে,
রাঙ্গানো থাকবে চারপাশের দেয়াল।

মায়বতী...
আমি জুড় খাটিয়ে কখনো বলবো না
-তুমি আসো।
যদি কখনো মনে করো!
আমাকে ছাড়া আর দূরে থাকতে পারছো না,
এক মুহুর্ত ও না
তখন-ই না হয় আসিও।
আমি তুমার জন্য অপেক্ষায় থাকিবো,
সকাল হতে বিকাল,
না হয় অনন্তকাল,

মায়াবতী...
কখনো মুখ ফুঠে বলবো না তুমায় ,
আমাকে দূরে রাখতে কি,
একটু বাধে না তুমার?
জানি তুমার ও মন কাঁদে,
যদি খুব বেশি দূরে যাই।
পথ চেয়ে বসে থাকো,
আনমনা হয়ে আমায় ভাবো
রাখোনা তখন আর নিজের খেয়াল!

মায়াবতী...
হয়তোবা আমার ওপর তুমার অনেক রাগ,
ধিক্ষার দিচ্ছো নিজেকে এই বলে,
কেনো বন্দী হতে গেলাম?
মুক্ত জীবন ই -তো ভালোছিলো!

মায়াবতী...
যদি তুমার স্বাধীনতায় বাধা না দেই!
মুখ ফুঠে বলতে না পারি?
মায়াবতী এটা আমার ভালো লাগেনি!
তবে এটা আমার কাছে ভালোবাসা নয়,
সমঝোতা,
আমি আমার জন্য তুমায় সংশোধন করবো,
ভুল হলে আয়নার মতো তুমার সম্মুখীন দাড়াবো।
ছাড়বো না কখনো হাল।

মায়াবতী...
জীবন খুব সংক্ষিপ্ত,
সেই সংক্ষিপ্ত জীবনে যদি কারো ভালোবাসা পেয়ে থাকি!
তাহলে একটা হলো দুঃখ, অপর টা তুমি।
তাই তুমি পাশে না থাকলে,
আমায় আপন করে নেয় দুঃখটাই,
কিন্তু আমি দুঃখ নয়
শুধু তুমার হয়প থাকতে চাই,
তুমার ভালোবাসায় নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই অনন্তকাল।

মায়াবতী...
তুমি যতই কষ্ট দাও যতই অবহেলায় পুড়াও,
পুড়িয়ে নাও,
তবু ও মন টা আমার ভেঙ্গে দিও না,
মায়াবতী...
যার মন ভাঙ্গে সেই বুঝে
ভাঙ্গা মনের কি যন্ত্রণা,
যদি মন টা ভেঙ্গে চুরমার করে দাও,
দগ্ধ হৃদয় টা কে পুড়িয়ে চারখার করে নাও!
তবে যে,
ভাঙ্গা মনে পুড়তে হবে আমায়,
এ কাল ও কাল সর্বকাল।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।